নিজস্ব প্রতিনিধি, ঘোজাডাঙ্গাঃ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল-বন্দর হল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত। ১৩ই আগস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে অবরোধের জেরে বন্ধ সীমান্ত বাণিজ্য। বসিরহাট জেলা লরি মালিক সেবা সমিতির পক্ষ থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বি.এস.এফ চেক পোষ্টের আগে গাছের গুড়ি ফেলে ওল্ড সাতক্ষীরা রোড অবরোধ করা হয়। বসিরহাট জেলা লরি মালিক সেবা সমিতির সম্পাদক খোকন গাজী এই বিষয় জানান, সমস্ত লরি ভারত থেকে বাংলাদেশে মাল আনলোড করতে যায়, সেই গাড়ি গুলির চালক ও খালাসীদের সাথে দুর্ব্যবহার, অতিরিক্ত টাকা চাওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও সর্বোপরি মারধরও করা হয়। বহূবার আলোচনা সত্ত্বেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। এছাড়াও তাদের আরও অভিযোগ, ঘোজাডাঙ্গা সি এন্ড এফ সংস্থা আগে লরি ফরোয়ার্ড ও ক্লিয়ারিং এর জন্য ১০ চাকার লরি পিছু ১০০০ টাকা ও ৬ চাকার ৪০০টাকা করে নিত। কিন্তু ইদানীং সেই টাকা যথাক্রমে বেড়ে দাড়িয়েছে ১২০০ ও ৬০০ টাকায়। লরি মালিক সেবা সমিতির অভিযোগ, টাকা যে বাড়ানো হবে তা কারোর সাথে আলোচনা করা হয়নি। হঠাৎই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সি এন্ড এফের পক্ষ থেকে সভাপতি ভোলা ঘোষ জানান, “লরি মালিক সেবা সমিতির তোলা এই অভিযোগ সঠিক নয়। আমাদের পক্ষ থেকে টাকা বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেকারণে সিএন্ড এফ কোন দায়ভার নেবে না। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে ওদের সঙ্গে মিটিং-এ বসার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছি”। সকাল ১০ টা থেকে অবরোধ হওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে সীমান্তের ওল্ড সাতক্ষীরা রোড।