রাজীব মুখার্জী, নবান্নঃ দীর্ঘ প্রত্যাশার পর অবশেষে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার পিছু ১ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিল বাংলার সরকার। ১১ই সেপ্টেম্বর, নবান্নে এই কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের উপর বোঝা লাঘব করতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও রাজ্য সরকার এই বিষয়টি নিয়ে খুব উদ্বেগশীল। প্রসঙ্গত, ১০ই সেপ্টেম্বর, বি. জে. পি. কেন্দ্রীয় স্তরে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত করে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, অতীতের তুলনায় কী ভাবে তাদের সরকার পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করে যাচ্ছে। সেই পরিসংখ্যান কে তুলোধোনা করে মমতা বন্দ্যোপাধায় বলেন, ২০১৬-র সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৯ বার এক্সাইজ ডিউটি বাড়়িয়েছে কেন্দ্র। এই ৯ বারে মোট ১১ টাকা ৭৭ পয়সা বেড়েছে এক্সাইড ডিউটি। ২০১৬-র জানুয়ারিতে লিটার পিছু পেট্রোলের দাম ছিল ৬৫ টাকা ১২ পয়সা। সেই দাম বেড়ে ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে লিটার পিছু ৮১ টাকা ৬০ পয়সায় এসে ঠেকেছে। একই রকম ভাবে দাম ঊর্ধ্বমুখী ডিজেলের। ২০১৬-র জানুয়ারিতে ১ লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটাই বাড়তে বাড়়তে এখন লিটার পিছু ডিজেলের দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ২৬ পয়সায়। যদিও এই সময়ের মধ্যে আমরা সেলস ট্যাক্স ও সেলস এক পয়সাও বাড়ায়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তোপ দাগেন, বিশ্বের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে গিয়ে দেশের মানুষকেই দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার। তিনি বলেন, বার বার কেন্দ্রের কাছে এক্সাইজ ডিউটি কমানোর জন্য দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বিক্রয় করের থেকে রাজ্যের যে অর্থ পাওনা আছে, সেই টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য কে ফেরত দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার থেকেই ৪৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়েও কর ছাড়ের পথে হাঁটলো বাংলা সরকার।