নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধান নগরঃ গত ৩১ তারিখ দত্তাবাদের বাসিন্দা নারায়ণ শ্রেষ্ঠা (১০) মারা যায় ডেঙ্গুতে। তার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও সেই দত্তবাদের ৩৯ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ১০ বছরের আকাশ চৌধুরীর মৃত্যু হল ডেঙ্গুতে। আকাশের মা ও তার বোন কে জ্বর নিয়ে সল্টলেক ও বাইপাসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, আকাশের বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর ছিল। বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে দেখানো হয়েছিল তাকে। গত ৩ তারিখ বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ৪ তারিখ এন আর এসে রেফার করা হয়। ৬ই সেপ্টেম্বর, সকালে সেখানেই ডেঙ্গুতে মারা যায় আকাশ। সেই খবর এলাকাতে এসে পৌঁছলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। যে পরিমান ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করা উচিত, সেই কাজ হয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সল্টলেকে ঢোকার মুখে বেঙ্গল কেমিক্যাল মোড়ে প্রায় আধ ঘন্টার জন্য গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌছয় বিধান নগর উত্তর ও দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ। তাদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
আকাশের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রতিবেশীরা। এরই মধ্যে এসে উপস্থিত হয় বিধান নগরের বিধায়ক সুজিত বোস। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমার।
সুজিত বোস বলেন, “খুব দুঃখ জনক ঘটনা এটা, কোনো মৃত্যু শুভ কামনা হয় না। আজ সকালে আমি এখানকার কমিশনার ও ডিপার্টমেন্ট কে বলেছি কেন এটা হচ্ছে। যে হাসপাতালে ছিল সেখানে বাচ্চাটার চিকিৎসা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল সেটা জমা দিয়েছে সেটা আমি ভালো করে খতিয়ে দেখছি, যদি কেউ দোষী থাকে তবে সে শাস্তি পাবে। করপোরেশন কে বলেছি যা যা দরকার বেবস্থা করতে। দুজন চলে গেছে, তাদের তো ফেরাতে পারবো না কিন্তু ওদের পরিবারের পাশে আমরা আছি”।
অন্য দিকে স্থানীয় কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমার এই বিষয় বলে, “বাচ্চাটি আমার খুব ক্লোজ ছিল, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। এই খতি কোনো ভাবে পূরণ আমি করতে পারবো না। নানা অভিযোগ থাকতে পারে। আমি অভিযোগ মাথা নিচু করে গ্রহণ করলাম। মানুষের অধিকার আছে অভিযোগ করতেই পারে”।