রাজীব মুখার্জী, কলকাতাঃ মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙ্গে পড়া প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ড. পার্থ প্রতিম বিশ্বাস-এর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। ব্রিজ ভেঙ্গে পড়া প্রসঙ্গে বেঙ্গল টুডের প্রতিনিধিকে তিনি জানান। প্রথমত, এটা বহু পুরোনো একটা ব্রিজ, যেটা এত বছর ধরে ছিলো, সেই ব্রিজ নকশার ত্রুটির কারণে ভেঙ্গে পড়েছে যদি বলা হয়, তা ঠিক নয়।দ্বিতীয়ত, নির্মাণ সামগ্রীতে গলদ থাকার কারণে এই ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে বললেও ঠিক বলা হবে না। এই সব কথা সাধারণত নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরেই ভেঙ্গে পড়লে বলা যেত। পোস্তা উড়ালপুলের ক্ষেত্রে যেটা আমরা দেখেছি।
এখানে যেটা প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে আমার মনে করি। সেটা হল, বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেকোন নির্মাণের “স্ট্রাকচারাল ডিস্ট্রেস” তৈরি হয়, আর এগুলোর নজরদারি করা যায়। একে বলা হয় “স্ট্রাকচারাল হেলথ মনিটরিং”। যেকোন পুরনো স্ট্রাকচারের ক্ষেত্রে এই মনিটারিং নিয়মিত করাটা খুব জরুরি। তাহলে এই ধরণের বড় বিপর্যয়ের আগে একটা আগাম আঁচ পাওয়া যায়। কিছু না কিছু সংকেত খুঁজে পাওয়া যায় এবং সেই সংকেতের ভিত্তিতে রিমেডিয়াল মেজার্স ঠিক করা যায়। যাতে প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি এগুলো কমানো যায়। তিনি আরও বলেন যে “এই ব্রিজটার ক্ষেত্রে সেটা হয়েছিলো কিনা আমার জানা নেই। যদি নিয়মিত হয়ে থাকতো, তাহলে এই বিপর্যয়টা এড়ানো যেত। কোনও না কোনও স্ট্রাকচারাল এলিমেন্ট ফেল করার ফলেই এই ঘটনাটা ঘটেছে”।