শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ১লা সেপ্টেম্বর, শনিবার হাবড়া থানার অন্তরর্গত চোংদা অম্বিকা চক্রবর্তী সরনির বাসিন্দা সীমা ঘোষ তার পঞ্চম শ্রেণীর বছর ১১-র মেয়ে সরমিলা ঘোষকে শ্বাসকষ্টের জন্যে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে বিকেল ৫/৩০ নাগাদ, ডাক্তার সরমিলাকে দেখে ভর্তি নিয়ে নেয়। রাত ৮টা নাগাদ সরমিলার মা সীমা ঘোষ মেয়ের খাবারের জন্যে হাসপাতালের চিপ ক্যান্টিন থেকে সবজি ভাত নেয় ২৫ টাকা দিয়ে, তারপর রাতে মেয়ের বেডে বসে মেয়েকে খাইয়ে দেয়। ২ বার খাওয়ার পর মেয়ে দেখতে পায় ভাতের মধ্যে কালো একটা কি, মাকে বলে মা এটা কি?, মা সীমা দেবী হাত দিয়ে ভাত সরিয়ে দেখে ভাতের মধ্যে মৃত টিকটিকী। সীমা দেবী তখনই ওয়ার্ডের ভেতরে থাকা ডাক্তার বাবুকে দেখায়, তারপর তিনি খাবারটি নিয়ে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষর কছে যায় দেখাতে। ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ দেখে বলে এটা আমাদের ক্যন্টিনে থেকে নেওয়া না। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। ভাত খাওয়ার পর থেকে ছোট্ট সরমিলা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পরে, পরের দিন সিমা দেবী হাসপাতাল সুপারকে জানাতে গেলে, সুপার না থাকায় ওয়ার্ড মাষ্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়, ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে। অভিযোগের মুল বক্তব্য ছিল, এই ধরনে খাবার যেন কাউকে না খাওয়ানো হয়। সীমা দেবী জানান, হাসপাতালে মানুষ সুস্থ হতে আসে, অসুস্থ হতে না। পুরো বিষটি খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।