Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শান্তনু বিশ্বাস, কলকাতাঃ আদালতের ১৪৪ ধারা জারি হওয়া সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের ৫ সাংসদ, ১ বিধায়ক ও ১ মন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি দল ২রা আগস্ট, বৃহস্পতিবার আসামের উদ্যেশ্য রওনা দেন। তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আসামের শিলচর বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে দেয়নি আসাম পুলিশ। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে গিয়ে আসাম পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। তাদের মারধর করা হয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অপরদিকে এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নরাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির তরফ থেকে দাবী করা হয়, যদি তৃণমূলে সাংসদ বা বিধায়ক দের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েই থাকে, তাহলে তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কিভাবে যোগাযাগ করছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, আসাম পুলিশ তাদের বেআইনি ভাবে হেনস্থা করেছে। এই হেনস্থার প্রতিবাদে শবর হয়ে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। এই হেনস্থার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ও পথ অবরোধ বিক্ষোভ দেখায় তারা। ২রা আগস্ট, বৃহস্পতিবার বিকেলে দমদম স্টেশনে এমনই এক বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহন করে তৃণমূল। হেনস্থার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে স্টেশনে তারা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করা মাত্রই, ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ট্রেণের নিত্যযাত্রীরা। তৃণমূলের বিক্ষোভের জেরে যখনই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে, সঙ্গে সঙ্গেই ওই ক্ষিপ্ত নিত্য যাত্রীরা ট্রেন লাইনের পাথর ছুঁড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ভঙ্গ করে দেয়। যাত্রীদের পাথর বৃষ্টি তে ছত্র ভঙ্গ হয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভকারী প্রাণ হাতে করে যে যেদিকে পারে দৌড় দেয়। তারপর কিছু সময়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। ওপর দিকে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে পথ অবরোধ করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। তাদের দাবি সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর কে হেনস্থা করে আসাম পুলিশ। আসাম পুলিশের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে ঠাকুরনগরে পাশাপাশি গোবোরডাঙাতেও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলে কর্মী সমর্থকেরা।