পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে ২৬শে জুলাই, বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। এর আগে, প্রথমে ৩ এবং পরে ৬ দিন মিলিয়ে মোট ৯ দিন পুলিশ হেপাজতে ছিলেন এই নেতা। অন্যদিকে জেলা সভাপতিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গতকাল কুশমণ্ডি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি মাইনরটি মোর্চার কর্মী সমর্থকরা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
থানা ঘেরাও কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপি মাইনরটি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রাহুল মণ্ডল, সভাপতি নজরুল ইসলাম। এছাড়াও ছিলেন অন্য জেলা নেতৃত্ব। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজেপি-র জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে গত ১৬ই জুলাই, সোমবার রাতে পুলিশ বালুরঘাটের রঘুনাথপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে বুনিয়াদপুরের প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী মৌসুমি মজুমদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মৃতের স্বামী বিজেপির-র জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৭ই জুলাই তাঁকে গঙ্গারামপুর মহকুমার বুনিয়াদপুর আদালতে তুলে ৩ দিনের হেপাজতে নেয় পুলিশ। পরবর্তীতে আরও ৬ দিনের পুলিশি হেপাজত হয় এই নেতার। গতকাল ফের তাঁকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে এবার ১৪ দিন জেল হেপাজত দেন বিচারক। এদিকে বিজেপি-র জেলা সভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আন্দোলন চালাচ্ছে দলীয় কর্মীরা। পথ অবরোধ, প্রতিবাদ মিছিল, থানা ঘেরাও থেকে গণস্বাক্ষর চলছে জেলা বিজেপির-র পক্ষ থেকে।
এবিষয়ে বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা। আগের মামলার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় জেলায় আসাকালীন কিছু মিথ্যা মামলা পুনরায় যুক্ত করেছে পুলিশ। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধি চলছে। এনিয়ে নিয়মিত আমাদের আন্দোলন চলছে। এবার উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”