Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ ২০শে জুলাই বারাকপুর স্টেশন চত্বরে, ধর্মতলার ২১ জুলাই এর তৃণমূলের শহীদ দিবসের সভাকে সফল করার জন্য যুব তৃণমূলের তরফ থেকে অন্তিম পর্যায়ের পথসভা চলছিল। রাত ৯ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওই সভার শেষ লগ্নে যখন সকলে ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান উত্তম দাসকে ঘিরে ২১শে জুলাইয়ের কলকাতায় শহিদ দিবসের সভা নিয়ে আলোচনা করছিল তখন অকষ্মাৎ ব্যারাকপুর স্টেশন চত্তরের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে জমায়েত লক্ষ্য করে আধলা ইট উড়ে আসে। তখন ঠিক পৌরপ্রধানের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিদ্যা নন্দ মিশ্র নামে পৌরসভারই এক অস্থায়ী সাফাই কর্মী। আধলা ইটটি উড়ে এসে পড়ে তাঁর মাথায় পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পান পৌরপ্রধান। আধলা ইটের ঘায় বিদ্যানন্দ মিশ্র রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন।
এই বিষয়ে উত্তম বাবু বলেন, “মিটিং শেষ হওয়ার পড়ে ব্যারাকপুর পৌরসভার সি.আই.সি ও ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপ্রভাত ঘোষ, ব্যারাকপুর পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের নৌসাদ আলম, সহ আরও কিছু স্থানীয় নেতৃত্ব আমার সাথে ২১শে জুলাইর কলকাতার শহিদ দিবসের সভার নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আমরা বুঝতে পারলাম না হটাৎই একটি আধলা ইটের টুকরো কেউ ছুড়ে মারে আমাদের লক্ষ্য করে। আমার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল ১৯নং ওয়ার্ডের অধিবাসী বিদ্যানন্দ মিশ্র, ইটটি এসে তার মাথায় পড়ে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=07-qM41s-xw[/embedyt]
পৌরপ্রধান আরও বলেন, “ইটটি আমাকেই লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল কিন্তু আমার পাশে দাঁড়ানো পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী বিদ্যানন্দ মিশ্রর মাথায় এসে লাগে। আমি এই ধরনের কাজকে চরম নিন্দা করছি, কারণ এই জমায়েতে আসা কর্মীদের মধ্যে কেউ যদি দেখতে পেত কে এই ঘৃণিত কাজ করেছে তাহলে আজ হয়তো আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যেত। কারণ গণধোলাইয়েই মৃত্যু হতো সেই ব্যাক্তির।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় আহত বিদ্যানন্দ মিশ্রের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে ও তাকে অবসারভেশনে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যারাকপুর ষ্টেশন চত্বরে জমায়েত হওয়া তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় টিটাগড় থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে।