শান্তনু বিশ্বাস, দেগঙ্গাঃ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার দেবালয়ের নন্দীপাড়া থেকে এক গৃহবধূ কে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে হিউম্যান রাইটস্ এর দ্বারস্থ পরিবার। পরিবার সুত্রে জানা যায় যে, বছর ৬য়েক আগে দেগঙ্গার আবুতাহের মণ্ডলের মেয়ে পারভিনা বিবির বিয়ে হয় পার্শবর্তী মাটিয়া থানার কেঁদুয়া গ্রামের বাকিবিল্লা নামের এক যুবকের সঙ্গে। ৬ বছরের সংসারে তাদের একটি ছোট্ট সন্তান ও আছে। গত কয়েক মাস আগে পারভিনা বিবি তার বাপের বাড়িতে ঘুরতে আসে। ঘুরতে আসার পর নন্দীপাড়ার বাসিন্দা খাদিজা বিবির সাহায্য, মাটিয়ার কেঁদুয়া গ্রামের আনারুল মণ্ডল ওরফে ঝণ্টু পারভিনা বিবি কে নানা রকম প্রলভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
সেই সময় পারভিনার বাবা আবুতাহের মণ্ডল দেগঙ্গা থানার গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিস ১৯শে এপ্রিল একটি নিখোঁজ ডাইরি নেয়। লিখিত ডাইরি নেওয়ার পর পুলিশ কোন কাজ না করায় পারভিনা বিবির পরিবারের লোকেরা থানায় গেলে, পুলিস “দেখছি দেখবো” বারে বারে বলে ফিরিয়ে দেয় তাদের কে, এমনটাই অভিযোগ তাদের। তাদের আরও অভিযোগ, এমত অবস্থায় গত কয়েক সপ্তাহ আগে পারভিনা তার স্বামীকে ফোন করে বলে যে, “আমায় একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছে ঝণ্টু, আমি বাড়ি যাওয়ার কথা বলতে আমায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, এখন আমি একটি ঘরের মধ্যে বন্দি, এক মহিলা আমায় নজরে রেখেছে আমি তার ফোন থেকে চুরী করে ফোন করছি, আমায় বাঁচাও নাহলে ওরা আমায় বিক্রি করে দেবে”। এই ঘটনার কথা পুলিশকে জানালেও কোন টনক নড়েনি তাদের। পুলিশের এমন ব্যবহার দেখে দিশেহারা হয়ে হিউম্যান্ রাইটস্ এর সাহায্য নিতে হয়েছে ওই পরিবারের লোকেদের। অল ইন্ডিয়া অরগানাইজেশন্ ফর হিউম্যান্ রাইটস্ অ্যাওয়ারনেস্ এন্ড প্রোটেকশনের হাড়োয় ব্লকের সম্পাদক ছালাউদ্দিন মোল্যার কাছে এসে ঘটনার কথা সব খুলে বলেন পারভিনা বিবির পরিবারের লোকেরা। সম্পাদক ছালাউদ্দিন মোল্যা-র নেতৃত্বে পারভিনা বিবির পরিবারের লোকেরা দেগঙ্গা থানায় ২ দিন ঘোরার পর, মঙ্গলবার রাতে খাদিজা বিবি ও আনারুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অপহরণের অভিযোগ গ্রহন করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, পারভিনা-র সঙ্গে আনারুলের একটি প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এটা কোন অপহরণ নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।