Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শান্তনু বিশ্বাস, মিনাখাঁঃ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁ-র মালঞ্চ বাজার হল পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার, কারন চিংড়ি, বাগদা, গলদা মাছ ক্রয়-বিক্রয় করা কে কেন্দ্র করে এই বাজার তৈরী হয়েছে। এই বাজার থেকে প্রতিদিনে ১০-১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এই মাছের বাজার কে কেন্দ্র করে অপরদিকে বিভিন্ন ধরনের বাজার গড়ে ওঠেছে। এই বাজারের বাইরে বিভিন্ন নামী দাবী কোম্পানির দোকান, সপিং মল, শরুম তৈরী করছে। এই বাজারে দিনে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে। শুধু বাজার নয়, এখানে আছে একটি সরকারী মাল্টিকমপ্লেক্স, একটি সরকারী গেস্ট হাউজ সহ বেশ কয়েক টি ব্যাঙ্ক।
কিন্তু এই এত গুরুত্বপূর্ণ বাজারের বাইরের রাস্তা গুলোর দশা দেখলে, কপালে পরবে হাত। একটু বৃষ্টি হলেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাদা জলে নাজেহাল হতে হচ্ছে। চাল বাজার, সব্জী বাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে জল জমে কাদায়, কর্দমাক্ত হয়ে বাড়ী ফিরতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। এমনই কিছু ক্রেতা-বিক্রেতাদের বক্তব্য, সরকারী মাল্টিকমপ্লেক্স, সব্জী বাজার, মাছ বাজার, চাল বাজার, সারের বাজার সহ প্রায় সব কটি বাজারে যাওয়ার জন্য ভালো রাস্তা নেই, নেই জল নিকাশীর ব্যবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার উপর জল জমে গিয়ে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এর ফলে ক্রেতারা বাজারে যেমন ঢুকতে পারেনা, আবার তেমনি বাজারের ফুটের দোকান গুলো জলে ডুবে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিক্রেতাদের। বাজারের ছোট দোকান গুলো জলে ঢুবে যাওয়ায়, তারা রাস্তার পাশে দোকান পাততে পারেনা। শুধু রাস্তা নয়, জল নিকাশী ব্যবস্থাও নেই।
এই বাজারে ভালো দূষণ মুক্ত সৌচালয়ও নেই। যে দুটো সৌচালয় আছে তার পরিকাঠামো খুবই খারাপ, যার ফলে বিশেষ করে মহিলাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এই সব নানা অভিযোগের কথা প্রশাসন কে বহু বার জানিয়ে কোন সুরাহ হয়নি আজও। প্রশাসন শুধু আমাদের বলছে, “হচ্ছে হবে”। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও সুরাহা হচ্ছে না। এই বিষয়ে আমাদের টিম স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে, তেমন কোন সদউত্তর পাওয়া যায়নি। এলাকার প্রধান মার্জিনা বিবি বলেন, “এটা অনেক বড়ো প্রজেক্ট। পঞ্চায়েতের তহবিলের সাহায্যে এই কাজ করা সম্ভব নয়। আমি বিডিও-র সঙ্গে কথা বলেছি। কিছু করা যায় নাকি দেখছি” । বিডিও সৈঈদ আহমেদ বলেন, “আমি আমার উর্ধতন কর্তিপক্ষেদের সঙ্গে কথা বলে দেখছি”। তবে এই বাজারের রাস্তা, জল নিকাশী ব্যবস্থা দ্রুত ভালো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতারা।