Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ স্কুল থেকে সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীরা পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি একান্নবর্তীতা, সামাজিক বোধ, বন্ধুত্বর মত নানান নৈতিক শিক্ষা লাভ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে ইঁদুর দৌড়ের এই প্রতিযোগিতার দিনে ছোট্ট থেকেই অভিভাবকদের অবিরাম চাপ যে ছাত্রমনে বিকৃতির উদ্র্বেক করছে তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে অভিভাবকরা সেই ছোট্ট থেকেই তাদের সন্তানদের শিক্ষা দিচ্ছেন যাতে তার পাশের ছাত্র বা ছাত্রীর থেকে তাকে বেশী নম্বর পেতে হবে। অযথা এই চাপের ফলে তার আশপাশের মানুষের কথা না ভেবে নিজের কি ভাবে ভাল হবে তাই ভাবতে শিখতে বাধ্য হচ্ছে বর্তমানের প্রজন্ম। আর তা না হলেই পাশের ছাত্র বা ছাত্রীর প্রতি জন্মাচ্ছে হিংসা, দ্বেষ, ঘৃণা। আর তাতেই এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মন থেকে সামাজিক বোধের কথা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে আর একান্নবর্তীতার কথা তো কোন দূর অস্ত। আজ বর্তমান প্রজন্মের মনে জন্মাচ্ছে একে অপরের প্রতি হিংসা, দ্বেষ, ঘৃণা।
[espro-slider id=11016]
এমনই এক দৃশ্য আজ উওর ২৪ পরগনা হাবরা থানার অন্তরগত বানীপুর এলাকায় দেখা গেল। ঘটনাটি হাবড়ার একটি নামী স্কুলের ঘটনা। একই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র দের মধ্যে সামান্য বচসা থেকে মারামারির মতন ঘটনা ঘটলো স্কুলের ভেতরেই। এই মারামারি শুধু স্কুল প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ না থেকে স্কুলের সীমানার বাইরে অবধি ছড়ায় বলে অভিযোগ। ফলে এই শিক্ষা নিকেতনের অন্দরে ও বাইরে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়ে। এই ঘটনায় ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর তিন ছাত্রকে বেঞ্চের পায়া দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আহত দ্বাদশ শ্রেনীর আহত তিন ছাত্র আবীর বিশ্বাস, সুজয় সিকদার ও রজত চাকি কে নিয়ে আসা হয়ে হাবড়া হাসপাতালে। তিন ছাত্রেরই মাথা ফেটে গুরুতর অবস্থায় হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই তিন ছাত্রের মধ্যে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় রজত চাকিকে আবার বারাসত হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়। এলাকার অনেকেরই বক্তব্য আজ সময় হয়েছে প্রতিটি অভিভাবক থেকে শুরু করে প্রতিটি স্কুলের মাস্টারমশাইদের এখন থেকে তাদের ছাত্র বা ছাত্রীদের প্রতি প্রখর দৃষ্টি রাখার। অবশ্য ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে স্থানীয় হাবড়া থানা এই গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।