Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
জয় চক্রবর্তী, বনগাঁঃ ১২ই জুলাই, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ বনগাঁ থানার ধরমপুকুর এলাকার ঘটনা। বৌ-এর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখা যাবে না এই বক্তব্য নিয়ে বোঝাতে গিয়েছিল স্বামী বিশ্বজিৎ মোদক, অঘোর বিশ্বাস (৩৫) কে। দুজনেই একই এলাকার বাসিন্দা। বিশ্বজিৎ মোদক পেশায় চায়ের দোকান চালায়। স্থানীয় বাজারে তার চায়ের দোকান আছে। ১২ই জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকালে অঘোর ওই দোকানে চা খেতে এলে তাকে দোকান থেকে চলে যেতে বলে বিশ্বজিৎ, অপমানিত হয়ে দোকান থেকে চলে যায় সে৷ অঘোর কে বিষয়টি বুঝাতে রাতে বিশ্বজিৎ অঘরের বাড়িতে যান, অভিযুক্তের স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন৷ অভিযোগ, সে সময় আচমকাই অঘোর ধারালো হাসুয়া নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজিতের ওপর৷ বিশ্বজিৎ মোদকের বুকে, হাতে পিঠে কোপ লাগে। অপরদিকে বাবার আসতে দেরি হওয়ায় ওই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায় বিশ্বজিতের ছেলে অনু৷ বাবাকে কোপাতে দেখে বাধা দিতে যায় অনু, তখন তাকেও আঘাত করে অঘোর, অনু মোদেকর হাতে কোপ লাগে৷ এরপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
আহত বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ থানা তে৷ বনগাঁ থানা থেকে তাদের আগে পাঠানো হয় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য৷ ঘটনায় বিশ্বজিতের আঘাত সব থেকে বেশি। বর্তমানে বাবা-ছেলে দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার পর উত্তেজিত স্থানীয়রা এবং ব্যাবসায়ীরা অঘোর বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালায়, ১০০ টি ধানের বস্তা জলে ফেলে দেয়। রাতে পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করে৷ অঘোর বিশ্বাস পলাতক৷