বেঙ্গলটুডে প্রতিনিধি, ঢাকাঃ নাগরিকদের আবাসন নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। কারণ বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোট ২২টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্প সহ মোট ৪৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ৫ই জুলাই, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
একই দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মাথাপিছু জমির ক্রমহ্রাস, পরিবেশ অবক্ষয় এবং আন্তর্জাতিক বিরাজমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় “জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-১৯৯৩ (সংশোধিত- ১৯৯৯)” পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংশোধন ও সমন্বয় সাধনপূর্বক একে আরও বেশি কার্যকর ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সরকার জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-২০১৬ প্রণয়ন করে, যা ২০১৭ সালের ২৭শে জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই নীতিমালায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র জন গোষ্ঠীর ক্রয়সীমার মধ্যে আবাসনের দুষ্প্রাপ্যতা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছে। গৃহায়ন নীতি মালার উদ্দেশ্য গুলো হলো-সকলের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান ও টেক সই মানব বসতি উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগৃহ, কারিগরি, নৈতিক ও মানসিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা। দ্বিতীয়ত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশাসন ও মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গৃহায়নের উদ্দেশাবলী প্রয়োগ। একই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, গৃহায়ন সংক্রান্ত জাতীয় সংবিধান, জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার যথাযথ ভাবে প্রতিফলন করা, যাতে পশ্চাতপদ, অবহেলিত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয় এবং দেশের পরিকল্পিত আবাসনের অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জন গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আয় বৃদ্ধি মূলক কর্মকান্ড গ্রহণের জন্য বিশেষজ্ঞ মূলক সেবা প্রদান করা যায়।