মিজান রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ৫ই জুলাই, বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান ড. শাজাহান এ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। দুই প্রার্থীর করা মামলার প্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। শ্রম আদালতে সাংবাদিক খায়রুল আলম ও সেবিকা রানীর করা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান ড. শাজাহান নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন।
এই নির্বাচন ৬ই জুলাই, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রার্থী ও ভোটার দের আচরণবিধি ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকতা পেশার অধিকার আদায়ের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে-র নির্বাচনে এবারে ভোটারের সংখ্যা সর্বমোট ৬ হাজার ১৪১ জন। নির্বাচনে একযোগে সারাদেশে ১০টি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ এই ৩টি পদে দেশের সব ভোটার রা ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। বাকি পদ গুলো শুধু ইউনিট ভিত্তিক ভোটে নির্বাচিত হবে।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। মহাসচিব পদে রয়েছেন ২ জন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে আছেন ৩ জন প্রার্থী। ঢাকা থেকে সহ-সভাপতি পদে ২ জন, যুগ্ম মহাসচিব পদে ৭ জন, দফতর সম্পাদক পদে ৩ জন ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাছাড়াও ময়মনসিংহ ইউনিট থেকে নির্বাহী সদস্য পদে ৪ জন, চট্টগ্রাম ইউনিট থেকে সহ-সভাপতি ৩ জন, যুগ্ম মহাসচিব পদে ৫ জন, নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ৬ জন, খুলনা ইউনিট থেকে সহ-সভাপতি পদে ২ জন, নির্বাহী সদস্য পদে ৩ জন, যশোর ইউনিট থেকে সহ-সভাপতি ১ জন, যুগ্ম মহা সচিব পদে ১ জন ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।
ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের ২ জন নির্বাহী পরিষদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়, রাজশাহী ইউনিটের সহ-সভাপতি ও ২ জন নির্বাহী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়, কুষ্টিয়ায় ২ জন নির্বাহী পরিষদের সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়, কক্সবাজার ইউনিটে ২ জন নির্বাহী পরিষদের সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় ও বগুড়া ইউনিটের যুগ্মমহাসচিব পদে ১ জন নির্বাহী সদস্য পদে ২ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।