Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শান্তনু বিশ্বাস, বাদুড়িয়াঃ স্বামী সুকুমার কর্মকার কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। স্বামীর পাঠানো রোজগারের টাকাতেই চলে সংসার। যদিও মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়িতে আসে স্বামী। বছরের বেশীর ভাগ দিনই স্বামী কে ছেড়ে ঘরেই থাকতে হয় সুকুমার বাবুর স্ত্রীরকে। বাবা সুভাষ কর্মকারের উপর ভরসা করে সন্তান আর স্ত্রী কে বাড়িতে রেখে রুজি রোজগারের জন্য ভিন রাজ্য গিয়েছে সুকুমার কর্মকার। সেই বাবাই এখন আতঙ্কের কারন হয়ে উঠেছে কর্মকার পরিবারের মধ্যে।
সুকুমার কর্মকারের স্ত্রীর অভিযোগ, রামচন্দ্রপুরের খাসপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন তিনি এবং তার সন্তান। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় সেই সুযোগে বেশ কয়েক দিন ধরে তার শ্বশুর তাকে বিভিন্ন ভাবে বাজে অঙ্গভঙ্গি ও নোংরা নোংরা কথা বলে উক্তত্য করতো। কিন্তু গৃহবধূ শ্বশুরের নোংরামির কথা কাউকে বলতে পারতো না। এমন কি তার স্বামী কে ফোনে জানাতে পারত না, যদি স্বামী ভুল বোঝে। উনি আরও বলেন, যতোই সহ্য করেছে নোংরামি, ততোই আরো বেড়ে চলেছিলো। এই ভাবে কিছু দিন চলার পর গত দুই দিন আগে, বাড়ির অন্যান্যরা না থাকার সুযোগে গৃহবধূ কে একা পেয়ে, ঘরের ভেতর ঢুকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেস্টা করে শ্বশুর সুভাষ কর্মকার। জাপটে ধরা মাত্রই গৃহবধূ চিৎকারে প্রতিবেশী ছুটে আসে। প্রতিবেশীরা ছুটে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির বেগতিক বুঝে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে পড়ে শ্বশুর সুভাষ কর্মকার। এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার শ্বশুর সুভাষ কর্মকার কে তার বাড়িতে থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত সুভাষ কর্মকারের বিরুদ্ধে আইনি মামলা রুজু হয়েছে, রবিবার তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়।