শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়া:
শীতের এই মরশুমে রাত বাড়লেই অতি সহজে সকলের চোখে নেমে আসে ঘুম। আর সেই সুযোগেই রাতের অন্ধকারে হাবড়া অশোকনগরে ঘটছে একের পর এক দুঃসাহসিক চুরি। ১৬ ই জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডহরথুবা দিঘিরপার এলাকায় শিবু মিত্র ও শিখা মিত্রের বাড়িতে ঘটে এই দুঃসাহসিক চুরি। উল্লেখ্য এদিন শিবু বাবুর শারীরিক অসুস্থতার দরুন কলকাতার জোড়াবাগনে তাদের আর একটি বাড়িতে গেছিলেন চিকিৎসার জন্য। আর সেদিন রাতেই তাদের বাড়িতেই ঘটে যায় এই ঘটনা। এরপর পরের দিন সকালে অর্থাৎ ১৭ ই জানুয়ারি এলাকাবাসীর ফোন পেয়ে ছুটে এসে দেখেন গেটের তালা ভাঙা ঘরের আলমারি ভাঙা এবং লন্ড ভন্ড অবস্থায় সব পরে আছে।
শুধু তাই নয় তাদের পাশের একটি ঘরে ভারাটিয়া বিকাশ সরকার পেশায় ভ্যান চালক থাকতেন। তাদেরও ঘরের তালা ভাঙা এবং লন্ড ভন্ড অবস্থায় পরে আছে ঘরের সব জিনিস। প্রসঙ্গগত পনেরো দিন আগে ভাড়াটিয়া বিকাশ সরকারের বাচ্চা হওয়ার দরুন তিনি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন, সকালে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার ঘরেও চুরি হয়েছে।
উল্লেখ্য শিপ্রা মিত্রের ঘর থেকে দশ বরি সোনা তিনটে সোনার চেন শাখা বাধানো পলা বাধানো এবং আংটি ও কানের সহ দশ পনেরো হাজার টাকা এছাড়া বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কের পাশবই খোয়া গেছে এবং বিকাশ সরকারের অভিযোগ তার ঘরের বাক্স ভেঙে নয় হাজার টাকা ও তিনটে রুপোর চেন খোয়া গেছে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের দাবী, গত ত্রিশ বছরে এরকম চুরির ঘটনা হওয়ায় স্বভাবতই আতঙ্কিত গোটা এলাকার মানুষ।
পুলিশি সুত্রে খবর, ১৭ ই জানুয়ারি দুই বাড়ির মানুষ তাদের ঘরের চুরির ঘটনা দেখার পর হাবড়া থানায় খবর দেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্তে হাবড়া থানার পুলিশ। একের পর এক চুরির ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। আপাতত আতঙ্কে রাত কাটাছেন গোটা এলাকার মানুষ।