Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
অরিন্দম রায় চৌধুরী, কলকাতাঃ বুধবার সাত সকাল থেকেই বেশ সাঁজ সাঁজ রব কলকাতার নিজাম প্যালেসে। কারণ আসছেন সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। অপরদিকে আবার ততক্ষণে হাজির তদন্তকারী অফিসাররাও। উপস্থিত ল অফিসারও। এমনকি ডাকা হয়েছে সাতটি চিটফান্ড মামলার সঙ্গে যুক্ত তদন্তকারী অফিসারদের। নিজাম প্যালেসের ১৫ তলার কনফারেন্স হলে শুরু হয়ে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৈঠক।
সারদা-নারদা-রোজভ্যালি মামলা নিয়ে ফের তোড়জোড় সিবিআই-এর। মঙ্গলবার সন্ধ্যে সময় কলকাতায় পৌছে গিয়েছিলেন সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। কথা বলার জন্য তলব করা হয়েছে এই সব প্রতারণা মামলার সঙ্গে যুক্ত তদন্তকারী আধিকারিকদের।
সব মিলিয়ে ২৮ থেকে ৩০ জন আধিকারিক বুধবারের বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে যোগ দিতে ঢোকার সময় দেখা গেল প্রায় প্রত্যেক আধিকারিকের হাতেই ছিল ল্যাপটপ এবং ফাইল। কেননা কেস ডায়েরি ও স্ট্যাটাস রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল তদন্তের দায়িত্বে থাকা অফিসার, জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারদের।
এদিন সকালে বিএসএফ-এর এসকর্ট করা গাড়িতে করে নিজাম প্যালেসে আসেন সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর।
উল্লেখ্য মোদী সরকারের চার বছর পূর্তি উৎসব হয়ে গিয়েছে। এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে যেসব মামলা নিয়ে বিরোধীরা শোরগোল তুলেছিলেন, তার মধ্যে সারদা-নারদা-রোজভ্যালি উল্লেখযোগ্য। সেই সব মামলাগুলিই নিয়ে মমতা-মোদীর সমঝোতার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বাম-কংগ্রেস। এমনকি বিজেপির তরফেও মামলাগুলি নিয়ে দিল্লিতে দরবার করা হয়েছিল।
একদিকে একজন স্পেশাল ডিরেক্টর পর্যায়ের অফিসার এই ধরনের বৈঠক এর আগে বেনজির ঘটনা, ফলে এই বৈঠকের গুরুত্ব অপররিসীম তা বলাই বাহুল্য। মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েও বৈঠক করেন রাকেশ আস্থানা। অপরদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, সিবিআই কর্তার এই সফর আসলে বিজেপির নির্বাচনী কৌশল। তবে সময়ই বলবে এই বৈঠকের আসল তাৎপর্য।