ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
দেশ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির ইঙ্গিত দিলেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে দেশের যুবাদের মগজধোলাই করছে এবং সন্ত্রাসের ইন্ধন দিচ্ছে। জঙ্গিদের এই বিপজ্জনক প্রবণতা রুখতে ইন্টারনেটে নজরদারি চালানো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া তিনি আরও জানান, এর ফলে অনেকেই হয়তো ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলবেন। জেনারেল রাওয়াত তাই এই সিদ্ধান্ত দেশবাসীর উপরেই ছেড়েছেন। এবং তিনি দেশবাসীর উদেশ্যে বলেন, 'গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই নিয়মের বিরুদ্ধে হয়তো অনেকেই প্রতিবাদ করবেন। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনারাই নিন। আপনারা সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশ চান নাকি অবাধ স্বাধীনতা চান?'
প্রসঙ্গগত ১৭ ই জানুয়ারি য়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাইসিনা ২০১৮ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল রাওয়াত একথা জানান।
উল্লেখ্য জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পর্যাপ্ত নজরদারি চালাতে হবে, সে কথা আগেও একাধিকবার বলেছেন রাওয়াত। কিন্তু এদিনের মতো চড়া সুর তাঁর গলায় আগে শোনা যায়নি বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। বস্তুত, জম্মু ও কাশ্মীরে সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে জঙ্গি নেতাদের একাংশ স্থানীয় যুব সম্প্রদায়কে ভারতের বিরুদ্ধে উসকাচ্ছে বলে আগেই রিপোর্ট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নিজেদের আসল পরিচয় লুকিয়ে জঙ্গিরা নকল আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে স্থানীয় যুবাদের মগজধোলাই করছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। নিয়মিত কাশ্মীরি যুবক ও যুবতীদের মোবাইলে পাঠানো হচ্ছে বিকৃত ভিডিও, জেহাদি কর্মকাণ্ডের দলিল। সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিদের এই প্রবণতা রুখতেই আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় অবাধ বিচরণের উপর রাশ টানার ইঙ্গিত দিলেন সেনাপ্রধান।
মূলত জঙ্গি নিধনের পাশাপাশি জঙ্গিবাদমূলক কাজকর্মের উপর নজরদারি চালাতে সেনার হাতে আরও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োজন বলে জোরাল সওয়াল করেছেন তিনি। সেনার জন্য নতুন ও উন্নতমানের অ্যাসল্ট রাইফেল, ব্যালিস্টিক হেলমেট ও বুলতপ্রুফ জ্যাকেট আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেনারেল রাওয়াত।