শান্তনু বিশ্বাস, নৈহাটি:
১৬ ই ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি স্টেশনে অমানবিক ভাবে রেলিং এ পিঠ মোড়া করে বেঁধে রক্তাত অবস্থায় পরে থাকে এক মহিলা ভবঘুরে। মূলত এদিন নৈহাটি স্টেশনের সিঁড়ির পাশে ঠিক এ টি এম এর সামনে রেলিংয়ে পিঠ মোড়া করে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকে এক মহিলা ভবঘুরে। তার মাথার ব্যাণ্ডেজ রক্তে ভিজে গেছে এমনকী সেই ব্যাণ্ডেজ থেকেও গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। রক্ত গড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে ভবঘুরের আর্তনাদ। সেই আর্তনাদ যন্ত্রনার না পেটের খিদের জন্য সেটা বোঝার কেউই নেই। তবে এই ঘটনায় একটি প্রশ্ন উঠেই আসে যে, এই ভবঘুরেকে এরকম নির্মম ভাবে বাঁধল কে?
এদিন স্টেশনে উপস্থিত নিত্যযাত্রীদের এই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা বলেন, এটি এখানকার কিছু দোকানদারদের কাজ, খাবারের জন্য দোকানে দোকানে ঘোরাঘুরি করে তাই ওকে ওমন করে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু দোকানদারের অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষের দিকে। তাদের দাবী ওই ভবঘুরে নানা ভাবে রেল কর্মীদের জালাত্বন করে তাই তারা ওই ভবঘুরেকে রেলিংয়ে ওমন করে বেঁধে রেখেছে। যদিও এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেলকর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে এটা কে বা কারা করেছে সেটা তারা জানেন না,তবে এটা রেল কর্তৃপক্ষের কাজ নয় বলেই তাঁরা দাবী করেন।
প্রসঙ্গগত এই সবের মধ্যেও কেবল কিছু প্রশ্ন রয়েই গেল সকলের মনে। অর্থাৎ কি হবে এই রক্তাত ভবঘুরের? কে তাকে বাঁধন মুক্ত করবে? না এই ভাবে রক্ত ঝরতে ঝরতে সবার সামনে আস্তে আস্তে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বে এই ভবঘুরে? তার আর্তনাদ কি কারোর কান ভেদ করতে পারছে না? তবে কি রেল কর্তৃপক্ষের কোণো দ্বায়িত্ব নেই এই ব্যাপারে? এমন কিছু প্রশ্ন রয়ে গেল সাধারণ নিত্যযাএী দের মনে।