ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডেঃ
৮ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাবা সকালেই ৭.৫৫ নাগাদ তার ৭ বছরের ছেলেকে স্কুলে ছেরে দিয়ে আসে। ৮.১০ নাগাদই তার কাছে স্কুল থেকে ফোন করে জানানো হয় যে, তার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। শুনেই স্কুলে ছুটে যান তিনি। বুঝতে পারে নি এই ভাবে প্রান হারাতে হবে তার ছেলেকে।
শুক্রবার সকালে গুরগাও এর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাথরুমে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের কাছ থেকে যানা যায়, ছাত্রটি মারা গেছে সে ওই স্কুলেরই ক্লাস ২-এ পড়ত। হত্যাকারি ওই স্কুলের বাসের কন্ডাকটর ছিলেন।
বিগত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে সে ওই স্কুলের বাসের কন্ডাকটর হিসেবে কাজ করছিল। অনেক দিন ধরেই তার ওই স্কুল ছাত্রটির উপর নজর ছিল। অবশেষে ৯ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সুযোগ বুঝে সে স্কুলের বাথরুমে ঢূকে পরে। সেই ছাত্রটি সেখানেই ছিল। বাস কন্ডাকটর স্কুল ছাত্রটিকে যৌন হেনস্থা করতে চেয়েছিল। এরপর যখন সে ছাত্রটির উপর চড়াও হয় ছাত্রটি তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
ঠিক তারপরই সেই বাস কন্ডাকটর তার পকেট থেকে ছুড়ি বের করে গলা কেটে হত্যা করে শিশুটিকে। এরপর সে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এর পরে থানায় গিয়েও স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সহ অভিযুক্ত কে তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করার কথা এবং কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন অভিভাবক। অভিযুক্তর নাম অশোক কুমার।
শুক্রবার রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করে এরপর আস্বামী নিজেই সব স্বীকার করে। ছাত্রটির বাড়ির লোক ও স্কুলের অন্যান্য ছাত্রদের অভিভাবকরা খুনির যথাযোগ্য শাস্তি দাবি করছেন।