মিজান রহমান, বেঙ্গলটুডে প্রতিনিধি, ঢাকাঃ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স মারফৎ এ খবর জানা গেছে। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এসটু-এইউজি মডেলের ৭৮ সিটের ওই বিমানটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও সেনা সদস্যরা। ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন বিমানকর্মী ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ৩৬ জন বাংলাদেশ, ৩৩ জন নেপাল এবং একজন করে মালদ্বীপ ও চীনের যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৪ জন জীবিত আছে বলে জানিয়েছে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন , অবতরণের সময় প্লেনটি একটু কেঁপে ওঠে, এরপরই রানওয়ের কাছে একটি ফুটবল মাঠে গোত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ার সঙ্গেই সঙ্গেই বিমানে প্রবল জোরে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায়। জানা গিয়েছে বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে নেমেছে আপতকালীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেই সঙ্গে হাত লাগিয়েছে নেপাল আর্মি। আপাতত কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে বিমানের ওঠা-নামা বন্ধ করা হয়েছে
নেপালের বেসরকারি বিমানচলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান সঞ্জীব গৌতম জানান, বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। ধারণা করা হচ্ছে সেটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। তবে বিমানটি বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়- কাঠমান্ডুতে বিমানবন্দরের ভুল বার্তার কারণেই এ দুর্ঘটনা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল নেপালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার নিহত ও আহতদের একজন করে স্বজন নিয়ে নেপালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সিঙ্গপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছবেন বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
অন্যদিকে,বিমানটি যখন ফুটবল মাঠে গোত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পরে এবং তাতে আগুন লেগে যায়। সেই দেখে অসংখ্য স্থানীয় মানুষ ছুটে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে একেবারে প্লেনের কাছে । নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, সৌভাগ্য ক্রমে বিমানে নতুন করে বিস্ফোরণ হয়নি, এর ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। নাহলে ওই সব স্থানীয় মানুষরা বিপদে পড়তেন। যদিও, ওই মানুষগুলি তড়িঘড়ি ধ্বংস হওয়া বিমানের কাছে চলে গিয়েছিলেন বলে বেশ কিছু মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।