ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডেঃ
মাত্র ১৭ বছর বয়সে শুটিংয়ের বিশ্ব-আসরে ইতিহাস গড়লেন বাংলার মেহুলি ঘোষ। প্রথমবার শুটিং বিশ্বকাপে নেমেই ব্রোঞ্জ জয় করলেন বঙ্গতনয়া। বিশ্বের দরবারে ফের এক বঙ্গললনা দেশের মাথা উঁচু করে তুললেন। তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কোচ জয়দীপ কর্মকার। মেহুলির তো বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তিনি পদক জিতেছেন বিশ্বকাপের আসরে।
উল্ল্যেখ্য মেক্সিকোর গুয়াদালাহারাতে শুটিং বিশ্বকাপে মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে তৃতীয় স্থান পান মেহুলি। তাঁর অর্জিত পয়েন্ট ২২৮.৪। জুনিয়ার শুটার হিসেবে গতবছরই তিনি এশিয়ার সেরার শিরোপা পেয়েছিলেন। তারপর বিশ্বকাপের সাফল্য তাঁকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেল এদিন। সেইসঙ্গে দেশের মাথাও তিনি বিশ্বের দরবারে শিখরে তুলে ধরলেন।
অবশ্য মেহুলি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না এই সাফল্যের কথা। নিতান্তই কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতিস্বরূপ তিনি বিশ্বমঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যে এই কীর্তি করে বসবেন মেহুলি, তা বিশ্বাস হচ্ছে না কোচ জয়দীপ কর্মকারেরও। প্রথমবার সিনিয়র ইভেন্টে নেমেই চমকপ্রদ সাফল্য ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
শিষ্যার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কোচ জয়দীপ কর্মকার বলেন, "মেহুলির এই জয় শুধু একটা পদকপ্রাপ্তিই নয়, এই জয়ে এক অনন্য নজির গড়ল মেহুলি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে শুটিং বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে এতবড় সাফল্য এর আগে কেউই দিতে পারেনি দেশকে। এদিন মেহুলি ছাড়াও ভারতের আরও দুই শুটার সাফল্যে এনে দিয়েছেন দেশকে।"
প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ জয়দীপ তো বলেই ফেললেন, আর একটু হলেই বাংলার বিস্ময় কিশোরী তাবড় খেলোয়াড়দের হারিয়ে স্বর্ণপদকও লাভ করে নিতে পারতেন। মেহুলি বিশ্বকাপের আসরে অসাধ্য সাধন করেছে। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ৩০ জনের মধ্যে থাকা। কিন্তু মেহুলি শেষ করেছে তিন নম্বর স্থানে।
[espro-slider id=1857]
প্রসঙ্গত এবারের শুটিং বিশ্বকাপের প্রথম দিনটিই ভারতের পক্ষে দারুন গেল। শুধু মেহুলিই নন, ছ-জন শুটারের মধ্যে তিনজন পদক পেলেন। পুরুষদের এয়ার পিস্তলে সোনা জেতেন শাহদার রিজভি। তিনিও নয়া নজির গড়েন ২৪২.৩ পয়েন্ট অর্জন করেন। ২১৯ পয়েন্ট নিয়ে এই বিভাগেই ব্রোঞ্জ জিতেছেন জিতু রাই।