ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
বন্দর এলাকায় এক দাগি দুষ্কৃতি খুনের ঘটনায় ২৭ শে ফেব্রুয়ারি চেন্নাই থেকে ধৃত মুল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম বাবর খান। এই ঘটনার সাথে যুক্ত বাবরের আগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ।
সুত্রের খবর, বিগত মাসে পশ্চিম বন্দর থানার অন্তর্গত সোনাই রোডে একটি বহুজাতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার পরিত্যক্ত গুদাম থেকে আকলিম খান নামে এক যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশি সুত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানা যায় মৃত আকলিম খান ওই এলাকার পরিচিত দুষ্কৃতি। মূলত চুরি- ছিনতাই , ডাকাতি, তোলাবাজি সহ বিভিন্ন দুষ্কর্মে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মৃত আকলিম খানের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে।
যদিও পুলিশের দাবী, জেরায় ধৃত বাবর খুনের কথা স্বীকার করে। পাশাপাশি সে জানায়, আকলিমকে সে আগে থেকে চিনত। কয়েক মাস আগে আকলিমের কিছু টাকার প্রয়োজন পড়ে। আর তাই বাবরের কাছে সে কয়েক হাজার টাকা ধার চায়। বাবর তার এটিএম কার্ড আকলিমকে দিয়ে বলেছিল, যত টাকা দরকার তুলে নিতে। এক্ষেত্রে বাবরের দাবি, তাকে না জানিয়েই এটিএম থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছিল আকলিম। এরপরে যখন বাবরের টাকার প্রয়োজন হয়, তখন সে ওই টাকা ফেরত দিতে বলে আকলিমকে। কিন্তু আকলিম একটি টাকাও শোধ করেনি।
এছাড়া আরও জানা যায়, বাবর জেরায় স্বীকার করে টাকা না পেয়েই আকলিমকে খুনের ছক কষে সে। এমনকি তাঁর সাথে সামিল হয় তার দুই সঙ্গীও। এর জেরেই পরিত্যক্ত গুদামে ডেকে পাঠানো হয় আকলিমকে। এরপর তাকে নেশা করিয়ে তার গলা কেটে খুন করে তারা। এরপর খুন করার পরেই বাবর প্রথমে উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে এক পরিচিতের মাধ্যমে সুরাতে পৌঁছায় সে। সেখানেই সে লরিচালকের কাজ নেয়। পুলিশ তার খোঁজ করছে জানতে পেরে চালকের কাজ ছেড়ে দেয় বাবর। তদন্তকারীরা জানান, চালকের কাজ ছাড়লেও গত সপ্তাহে মালবোঝাই লরির খালাসি হিসেবে চেন্নাইয়ে পৌঁছায় সে। খবর পেয়ে পশ্চিম বন্দর থানার একটি দলও সেখানে পৌঁছে যায়। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, চেন্নাইয়ের পালানচুর এলাকার একটি বস্তিতে লুকিয়ে ছিল বাবর। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।