শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার অন্তরর্গত বানিপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে হাবড়া থানার পুলিশ। ছাত্রের নাম কৃষ্ণ লাল (২৫)। বেশ কয়েক মাস ধরে বাবা মায়ের সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিল নেই তার, কলেজেরই পেছনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো ওই ছাত্র। ভাড়া বাড়িতে কৃষ্ণ ছাড়াও তাঁর এক সহপাঠী থাকতো। কলেজে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলো কৃষ্ণর। শুধু কলেজেই নয়, ওই ভাড়া বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশীদের মুখে একই কথা, “ধীর স্বাভাবিক কৃষ্ণ খুব ভালো ছেলে ছিলো”।
জানা গিয়েছে, বাবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জন্য কৃষ্ণ নিজের বাড়িতে যেতো না। কিন্তু কৃষ্ণর সহপাঠী বন্ধু মাঝে মধ্যে নিজের বাড়িতে যেতো-আসতো। ওই সহপাঠী বাড়িতে যাওয়ার পরই, ১২ই আগস্ট, রবিবার কলেজ এলাকায় ঝাড়খণ্ডের বোখারোর দুই ব্যক্তি, কৃষ্ণর ছবি দেখিয়ে তাঁর খোঁজ করেন এবং প্রতিবেশীরা কৃষ্ণর বাড়ি চিহ্নিত করে দেয় তাদের। এরপর কৃষ্ণর সঙ্গে ঘরের ভেতর অনেকক্ষন গল্প গুজব করার পর, রাত ৯:৩০ নাগাদ নৈশভোজ করতে বাইরে বেরোতেও দেখেছিলো প্রতিবেশীরা। রাতে তারা নৈশভোজ করে ঘরে ফিরে যায়। এরপর সকালে প্রতিদিনের মতো কাজের মহিলা আসলে, ওই দুই ব্যক্তি কাজের মহিলা কে বলেন যে, “কৃষ্ণর শরির খারাপ, ও শুয়ে আছে” এই বলে তারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর কৃষ্ণর সহপাঠী এসে দেখে যে কৃষ্ণ শুয়ে আছে, কিন্তু সে আর জীবিত নেই বুঝে সহপাঠী প্রতিবেশীদের ডাকে, পরে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বাবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হাওয়ার পর মানশিক ভাবে আঘাত পেয়ে সে আত্মহত্যা করল, না ওই দুই ব্যক্তি খুন করে পালিয়ে গেলো? এর পেছনে তার সহপাঠীর কোন হাত নেই তো? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে হাবড়া থানার পুলিশ। কৃষ্ণর মৃত্যুর কারন এখনও সঠিক জানা যায় নি। তবে এই ঘটনার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক ও ওই কাজের মহিলা কে আটক করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়।