শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ৬ বছর আগে কর্মসুত্রে হাবড়া টুনিঘাটার বাসিন্দা মানিক বিশ্বাস আসামসোলে বার্নপুর এলাকায় পরিচয় হয় অশ্বিনী শুক্লের (২২) সাথে এবং তারা একে অপর কে প্রচন্দ ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু তার পরে শুরু হয় বিপদ, মেয়ের বাড়ি এই সম্পরক মেনে নিতে চায়নি। কারন হিসাবে ব্যাখ্যা দারকরিয়ে ছিল, “ছেলের জাত তফশীল ও মেয়ে জাত ব্রাবন”। কর্মসুত্রে মেয়ের বাবা আসামসোল থাকতেন। মেয়ের পরিবার অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে মেয়েকে, কিন্তু সে বেঁকে বসে। মানিক ও অশ্বিনী বিপদ বুঝতে পেরে ২৫শে মার্চ ২০১৭ রেজিষ্টি করে ফেলে। জানা গিয়েছে, মেয়ের আদী-বাড়ি উওর প্রদেশের গোঁড়া দেউলিয়া এলাকায়।
[espro-slider id=11503]
ছেলে ও মেয়ে সামাজিক মতে ২০শে জুন বিয়ে করে, ২২শে জুন বৌভাত অনুষ্ঠান করে। মেয়ের বাড়িতে সকলকে অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করে। কিন্তু সেই দিন তাঁরা আসেনি, চারদিনের মাথায় এসে মেয়ে কে জোর করে নিয়ে যায় মেয়ের বাবা অশোক বাবু। মানিক বিশ্বাস বলেন, “শশুড় মশাই এসে বলেন যে, যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমরা অনুষ্ঠান করে মেয়েকে সম্প্রদান করবো। কিন্তু স্ত্রির সাথে কোন যোগাযোগ করতে না পারায়, ১৬ই জুলাই হাবড়া থানায় অপহরনের অভিযোগ দায়ের করে। হাবড়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমে উদ্ধার করে নিয়ে আসে উওর প্রদেশে থেকে অশ্বিনী কে।
পরবর্তীতে বারাসাত আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে শশুর বাড়ী ফেরেন অশ্বিনী। শশুর বাড়ীতে বসে অশ্বিনী জানান, “শ্বশুরবাড়ি তে ফিরে আমার প্রচণ্ড ভালো লাগছে, সবচেয়ে ভালো লাগছে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে। মিথ্যা কথা বলে আমাকে আমার বাবা নিয়ে গিয়েছিলো, সেটা ওদের ভুল। কিন্তু এমন করে আমাকে আটকে, আমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করিয়ে দিয়ে, আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি দিয়ে কোন লাভ হয়নি। ওদের ইচ্ছে ছিল ওরা সেটাই করেছে, এখন যা হয়েছে সেটা ভগবানের দয়ায়”।