পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ প্রায় এক মাস ধরে বিকল হয়ে রয়েছে স্কুলের একমাত্র মার্ক টু টিউবওয়েল। ফলে জলের অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে মিড ডে মিল থেকে শুরু করে স্কুলের অন্যান্য কাজকর্ম। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। বারবার BDO এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কে বিষয়টি জানানোর পরও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলে দিন দিন কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায়।
এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সংখ্যা মোট ৮৫। সেখানে শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন। স্কুলের মিড ডে মিল থেকে শুরু করে পানীয় কিংবা শৌচকর্মের জন্য রয়েছে একটিমাত্র মার্ক টু টিউবওয়েল। গত জুন মাসের শুরু থেকে সেটি সম্পূর্ণ ভাবে বিকল হয়ে পড়েছে। টিউবওয়েল মেরামত কিংবা বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ৭ই জুন হরিরামপুর ব্লক আধিকারিকের কাছে লিখিত আবেদন জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মহন্ত। দিন কয়েক পরে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকেও লিখিত ভাবে আবেদন জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত স্কুলের একমাত্র টিউবওয়েলটি মেরামত বা পালটে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়নি প্রশাসন। স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলের মিড ডে মিল, বাথরুম বন্ধ হয়ে গেছে জলের অভাবে। এক মাস ধরে মিড ডে মিল বন্ধের কারণে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে।
এবিষয়ে স্কুলের প্রধানশিক্ষক উত্তমকুমার মহন্ত বলেন, "স্কুলের কোনও ফান্ড নেই। সেই কারণে টিউবওয়েল মেরামত করা বা পালটানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। স্কুলে কোনও বাউন্ডারি ওয়াল নেই। বাইরের লোকজন টিউবওয়েলটি ব্যবহার করত। একটা মাত্র টিউবওয়েল, চাপও বেশি। এখন সেটা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। BDO-কে লিখিতভাবে আবেদনের মাধ্যমে জলের ব্যবস্থা করতে বলেছি। তিনি ব্লকের ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ইঞ্জিনিয়র জানান, তাঁদের এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা করার উপায় নেই। এরপর প্রধানকেও বিষয়টি জানাই। কোনও কাজ হয়নি। অথচ মিড ডে মিল চালানোর জন্য ব্লক কার্যালয়ের দায়বদ্ধতা রয়েছে। ধীরে ধীরে স্কুলে ছাত্র উপস্থিতির হারও তাই কমছে"।
অন্য দিকে গঙ্গারামপুর মহকুমাশাসক দেবাঞ্জন রায় জানান, "জলের অভাবে মিড ডে মিল, শৌচকর্ম বন্ধ থাকবে তা হতে পারে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ওই স্কুলে জলের ব্যবস্থা করা হবে"।