অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ “যে রক্ষক, সেই ভক্ষক” এই কথাটা আবারও মনে হয়ে একবার প্রমাণ হলো ব্যারাকপুর শহরে। যাদের হাতে দেশমাতৃকার মান বাচানোর গুরুদায়িত্ব তাদেরই একজন অপমান করলেন এক স্থানীয় নারীকে। আবারও ভর সন্ধ্যায় অটোতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ।
ঘটনায় প্রকাশ এক তরুণী সন্ধ্যায় বেলঘরিয়া রথতলার নিজের দিদির বাড়ি থেকে ব্যারাকপুরে মাসির বাড়িতে আসার জন্য বি.টি.রোড থেকে অটো ধরে। আসার সময় পথে আগরপাড়া কাছ থেকে এক ব্যক্তি ওঠে অটোয় আর এর পরেই সেই ব্যাক্তি তরুণীর সঙ্গে অশ্লীল আচরন করতে শুরু করে এবং তরুণীর শরীরে হাত দেয় বলে অভিযোগ। অটো চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ঐ লোকটি সমেত তরুণীকে অটোয় করে সোজা ব্যারাকপুর চিড়িঅমরে ট্র্যাফিক গার্ডের কিওস্কে এসে ট্রাফিক পুলিশ বুথের সামনে ওই ব্যাক্তিকে নামিয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কাছে জানায় তার অভিযোগ। চিড়িয়ামোড়ের ট্র্যাফিক অফিসার ঘটনা আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে টিটাগড় থানায় খবর দেন। থানা থেকে পুলিশ এসে ব্যাক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়।
তরুণীও টিটাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সূত্রের খবরে জানা যায় অভিযুক্ত একজন সেনা কর্মী, হরিয়ানার বাসিন্দা, নাম শ্যামাচরন সাউ। এই ঘটনা নিয়ে তরুণীর দাবী অটোতে লোকটি তরুণীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিচ্ছিল। তরুণী সরে আসার চেষ্টা করে কিন্তু, তাতে থামেনি লোকটি কার্যকলাপ। সবার সামনেই তরুণীর সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটাল লোকটি। অভিযোগকারিনির বক্তব্য, “রাস্তাঘাটে মেয়েরা একেবারেই নিরাপদ নয় তাই এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। আজ আমার সঙ্গে হল, কাল অন্য কারও সঙ্গে হতেই পারে। আমি চাই দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হোক। চলন্ত অটোতে এসব করার সাহস পায় কী করে?” এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।